ঢাকা ১লা মার্চ, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই ফাল্গুন, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৫৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১০, ২০২০
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী সভা-সমাবেশের ন্যায় বড় ধরনের বেশ কিছু সভা–সমাবেশ আয়োজনের পরিকল্পনা করছেন। তবে এসব কর্মসূচিতে নির্বাচনকে বিতর্কিত করা ও ফল নিয়ে তাঁর ‘চলমান আইনি লড়াইয়ের’ বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
অ্যাক্সিওসের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ফক্স নিউজ জানায়, নির্বাচনের ফলকে চ্যালেঞ্জ জানানোর ঐতিহ্যগত পথে হাঁটার ব্যাপারে ট্রাম্পের প্রচার শিবির ততটা আগ্রহী নয়। তার চেয়ে বরং তারা দফায় দফায় বেশ কিছু সভা-সমাবেশ আয়োজনসহ অন্যান্য বিষয় পরিকল্পনা করছে। এসব সমাবেশে দেশজুড়ে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে করা অসংখ্য মামলার বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরা হবে।
সভা-সমাবেশে ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজে অংশ নেবেন। এতে তাঁর প্রচার দল সেই সব মৃত ব্যক্তির শোকসংবাদ প্রচারের পরিকল্পনা করছে, যারা ভোট দিয়েছেন বলে দাবি করছেন ট্রাম্প ঘনিষ্ঠরা। একই সঙ্গে এসব বার্তাকে জনপরিসরে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য নির্বাচনী প্রচারের মতো করেই মিছিল–সমাবেশ আয়োজনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
ট্রাম্পের সমর্থক হিসেবে পরিচিত ফক্স নিউজ বলছে, ট্রাম্পের সমাবেশ থেকে জর্জিয়া, অ্যারিজোনা ও পেনসিলভানিয়ায় ভোট পুনর্গণনার দাবি তোলা হবে। ওই সব রাজ্যে তারা দলীয় টিম পাঠাবে।
বলার অপেক্ষা রাখে না, এসব পরিকল্পনার কেন্দ্রে রয়েছে নির্বাচন সম্পর্কে যতটা সম্ভব সন্দেহ ছড়ানোর উদ্দেশ্য, যাতে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যগুলোর সেক্রেটারি অব স্টেটদের ওপর ভোট গণনা নিয়ে তদন্ত শুরুর চাপ বাড়ে এবং তাঁরা নিজে থেকেই ভোট পুনর্গণনা শুরু করেন। এতে করে পুরো প্রক্রিয়াটি অনেক প্রলম্বিত হবে। ফলে নির্বাচনের ফল নিয়ে আদালতের আশ্রয় নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে যথেষ্ট সময় পাবে ট্রাম্পের শিবির।
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও মিত্ররা ব্যক্তিগতভাবে স্বীকার করেছেন, এসব উদ্যোগের মাধ্যমে বড়জোর অনিবার্য বিষয়কে বিলম্বিত করা যেতে পারে।
জো বাইডেনের কাছে পরাজয় স্বীকারে অস্বীকৃতি জানিয়ে সামনের দিনগুলোতে নির্বাচন নিয়ে আইনি লড়াইয়ে নামার ঘোষণা আগেই দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প। আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে তিনি কতটা আগ্রাসী, সেটার নমুনা কিছুটা পাওয়া যায় দাতাদের কাছে তাঁর অর্থ সহায়তা কামনা থেকে। ট্রাম্পের প্রচার শিবির পেনসিলভানিয়ায় বড় ধরনের ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন। কিন্তু এ পর্যন্ত তারা কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি।
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও মিত্ররা ব্যক্তিগতভাবে স্বীকার করেছেন, এসব উদ্যোগের মাধ্যমে বড়জোর অনিবার্য বিষয়কে বিলম্বিত করা যেতে পারে। আবার ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ অনেকে ভোটের ওপর ট্রাম্পের আস্থার ভিত্তিকে দুর্বল করার চেষ্টার প্রশ্নে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তাঁরা বলছেন, ট্রাম্প ও তাঁর কট্টর গ্রুপটি মনে করে, নির্বাচনে পরাজয় হলেও সমর্থকদের তাঁর প্রতি অনুগত রাখার লক্ষ্যে এসব কর্মসূচি নিতে হবে।
ট্রাম্প ও তাঁর সমর্থকেরা দাবি করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের স্মরণকালে ইতিহাসে কোনো নির্বাচনে এবারের মতো ব্যাপক ভোট জালিয়াতি ও ষড়যন্ত্রের ঘটনা ঘটেনি।
বার্তা সংস্থা এপি বাইডেনকে জয়ী হিসেবে পূর্বাভাস দেওয়ার পরপরই ট্রাম্পের অ্যাটর্নি রুডি জিলিয়ানি পেনসিলভানিয়ার ফিলাডেলফিয়ায় নির্বাচনী প্রচারের ব্যানারের সামনে দাঁড়িয়ে একে ‘ফ্যান্টাসি আইল্যান্ড’ বলে আখ্যা দেন। তিনি ঘোষণা দেন, নির্বাচনের যেকোনো অসংগতি খুঁজে দেখতে তাঁরা অনেক দূর যাবেন। এই রাজ্যে সন্দেহজনক কিছু হচ্ছে।
ফক্স নিউজের ‘সানডে মর্নিং ফিচার’-এ জিলিয়ানি বলেন, পেনসিলভানিয়ায় বিদ্যমান আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি আরও দুটি মামলা করার খসড়া তৈরি হচ্ছে।
জিলিয়ানি ধারণা করছেন, চলতি সপ্তাহের শেষ নাগাদ প্রচার শিবির ৪/৫টি মামলা দায়ের করবে। সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে ট্রাম্প শিবিরের কৌঁসুলি দল সামনের দিনগুলোতে তাদের আইনি লড়াইয়ের বিষয়ে পরিকল্পনার কথা জানাবে।
About Us Contact Us Privacy Policy Terms and Conditions
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি